বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখা হলেও জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে স্বাধীনতাসহ সব আন্দোলনেই বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার দেশের একশ্রেণীর মানুষের স্বভাব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে নানা ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের। আর বাঙালির যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখা হয়েছিলো। স্বাধীনতা ও সব আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা আমাদের দেশের একশ্রেণীর মানুষের স্বভাব। দেশের কিছুই ভালো লাগে না তাদের।
‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। তাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করা যায়নি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। জনগণের সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি আনার লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে গেছেন।
এদিকে বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপকর্মকারী ও গণতন্ত্রের বাধা প্রদানকারীদের কাছে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। ৩৫ বছর পিতার হত্যার বিচার পায়নি। আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা তখন কোথায় ছিলো।
১৯৯৬ সালে ভোট চুরির জন্য জনগণ বিএনপিকে বয়কট করায় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থেকেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, দেশে-বিদেশে তদবির অপচেষ্টা করেও ভোট বন্ধ করতে পারেনি বিএনপি।
টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।বলেন, ১৯৪১ এর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করে আসছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথে এই সরকারকে কেউ পিছনে টেনে ধরতে পারবে না।