কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে হত্যায় জড়িত ছয়জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, চকরিয়ায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটকদের মধ্যে চার জন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো এবং বাকি দুই জন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে।
আটকরা হলেন- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মো. হোসেন (৩৯)। বাবুল প্রকাশ এই ঘটনার মূল অর্থ যোগান দাতা।
প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তিনি জানিয়েছে, লেফটেন্যান্ট তানজিমকে তিনিই প্রাণঘাতী ছুরিকাঘাত করেন। আটকদের মধ্যে ডাকাত দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হেলাল উদ্দিন, গাড়ি চালক আনোয়ার হাকিম, সশস্ত্র সদস্য আরিফ উল্লাহ এবং তথ্য দাতা জিয়াবুল করিম ও মো. হোসেন ঘটনার সাথে নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ছয় জনকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের কাজ চলছে।
সোমবার দিবাগত রাত চারটার দিকে চকরিয়ার ডুলহাজারা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার। লেফটেন্যান্ট তানিজমের বাড়ি টাঙ্গাইলের বিশ্বাস বেতকায়।
আইএসপিআর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ওই এলাকায় যায়। রাত চারটার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযানের সময় ৭/৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তানজিম ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন। এসময় ডাকাতরা তার ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।