বাজারে গরুর সরবরাহ কম, এই অজুহাতে ৭৫০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৬৪০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, ৬৪০ টাকায় মাংস বিক্রি করলেও লাভ থাকছে। এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে তদারকির অভাবেই দাম নাগালের বাইরে বলছেন ভোক্তারা।
দেশে সারা বছরে গরুর মাংসের বেশিরভাগ চাহিদা মেটে গৃহস্থের গরু দিয়ে। কিন্তু গরুর খাবারের জোগান দিতে না পারায় অনেক গৃহস্থের ঘরেই কমেছে গরুর সংখ্যা।
বসিলার মনির মিয়ার গোয়ালে গেলো বছর ১০টি গরু ছিলো। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার নিজের জন্য রেখেছেন দুটি গরু। রাজধানীর আশেপাশের অনেক গৃহস্থের ঘরেই এই চিত্র।
গৃহস্থের ঘরে গরু মিলছে না এমন অজুহাতে বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় কমেছে বেচা-বিক্রি।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাজারদর থেকে কেজিতে ১০০ টাকা কমে ৬৪০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি করছে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বললেন, এই দামে বিক্রি করেও মাংসে লাভ থাকছে। খামার মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেনের দাবি, দাম বাড়ার কারণ মধ্যস্বত্বভোগিরা।
এদিকে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, চামড়ার সরবরাহ আছে আগের মতোই, তাই বেচাবিক্রি কমার দাবি ঠিক নয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও বলছে দেশে পর্যাপ্ত গরু আছে।
দেশে গরুর সংখ্যা, গোখাদ্যের দাম ও বাজারে মাংসের চাহিদা নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত তথ্য নেই। নেই মধ্যস্বত্বভোগিদের ঠেকাতে তদারকি।
আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে ফরিয়া ও ব্যবসায়ীদের অশুভ চক্রটি। যার কারণে ক্রমেই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এ সময়ের সবচেয়ে সহজলভ্য আমিষ- গরুর মাংস।
আরও পড়ুন: সেই সুলতানার মৃত্যুর কারণ জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন
অথচ কিছুদিন আগেই এফবিসিসিআই জানিয়েছে, দুবাইয়ে কোনো গরুর খামার নেই। সেখানে আমদানি করে মাংস বিক্রি করা হয়। তারপরে দুবাইয়ে গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা।
ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি হলে প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। তাহলে কেন বাংলাদেশে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে কিনতে হবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।
একাত্তর/এসি