পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অফ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কতৃর্ক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বনানীস্থ শেরাটন হোটেলে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সারাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়স ভেদে কুরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত-এ রসূল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নৌ পরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড এম সাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ব্রুনাই দারুস সালামের হাই কমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি. এমডি জাকিউল ইসলাম, জাকাত ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, ইনস্টিটিউট অব হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রধান উপদেষ্টা শেখ আব্দুল লতিফ আল কাদি আল মাদানী।
পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে, ইনস্টিটিউট অফ হযরত মোহাম্মদ (সা.) মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
এ ইনস্টিটিউটটি ২০০৪ সাল থেকে যাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনামূল্যে শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
ইন্সটিটিউট এবার দ্বিতীয়বারের মতো সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীকে কুরআন ও সুন্নাহর আলোয় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে। সাতটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ২১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি প্রায় দুই দশক সময় ধরে ইনস্টিটিউটের মহৎ কার্যক্রম ও সামাজিক দায়িত্ব পালন ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চলা পথ-পরিক্রমার প্রশংসা করেন।
বিশেষ অতিথিরা জানান, সমাজের অবহেলিত এই অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভা তুলে ধরা ও সমাজে তাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিতে ইনস্টিটিউট অফ হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।