তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানাল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। কমপক্ষে ৩ বার রক্ত দানকারী লাইফ লং, ১০ বারের সিলভার, ২৫ বারের গোল্ডেন এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করা প্লাটিনাম বিভাগের নানা বয়সী স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে এ সম্মাননা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মো. তোফাজ্জল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। পৃথিবীতে আটশ’ কোটি মানুষ আছে। প্রতিটি মানুষ অনন্য। জীবের মধ্যে একমাত্র মানুষই অন্য মানুষকে রক্ত দিতে পারে, এমনকি কখনো প্রয়োজনে অঙ্গও দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কৃত্রিমভাবে ল্যাবরেটরিতে রক্ত উৎপাদনে অনেক চেষ্টা করেও এখনো সম্ভব হয় নি। সম্মিলিতভাবে যদি আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারি তবে তা সহজ হয়ে যায়। রক্ত দেয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা। রক্ত দিলে শারীরিক অনেক সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে এটা বিজ্ঞানে প্রমাণিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।
এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ২৬ বারের রক্তদাতা আয়শা জুবাইরা আফরোজ এবং নিয়মিত রক্ত গ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তাহমিদুর রহমান আরিয়ান।
স্বেচ্ছা রক্তদাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রক্তের চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার মানবিক আহবান জানান আলোচকরা।
আরও পড়ুন: কালো জাতের আখ চাষে সফল নওগাঁর সোহেল
প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত এমন মূল্যায়নের আয়োজন করে থাকে কোয়ান্টাম।
একাত্তর/আরএ