এক ডজনেরও বেশি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশের পরও মন্ত্রী-এমপিদের যে সব স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানতে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন নেতাকর্মী। যদিও বিষয়টি বৈঠকের আলোচ্য সূচির এজেন্ডায় নেই। তবু বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সোমবার আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের নির্দেশের পরও প্রভাবশালী কোনো কোনো নেতার স্বজনরা এখনও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে। যা নিয়ে হতাশ তৃণমূলের নেতারা। দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় কেন্দ্রীয় নেতারা বিব্রত হয়েছেন।
তাই সমসাময়িক রাজনীতির পাশাপাশি এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা কেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় নেতাদের। যারা নির্বাচনে আছেন তাদের তালিকা তুলে দেওয়া হবে দলীয় সভাপতির হাতে। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, যারা নির্দেশনা মানবে না, এটি দুঃখজনক। মিটিংয়ে নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন আমরা সেটিই বাস্তবায়ন করবো।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, এজেন্ডায় না থাকলেও কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনায় বিষয়টি তোলা হবে। তৃণমূলে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াকে অনিবার্য বলছেন এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, দলীয়ভাবে সমর্থিত প্রার্থীদের (মার্কা ছাড়া) বিপক্ষে যদি আমাদের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে তৃণমূলে আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা হবে। ওয়ার্কিং কমিটিটির মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের এই বৈঠকে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্যকারী প্রার্থীদের কি শাস্তির সিদ্ধান্ত আসছে তার উপরই নির্ভর করবে পরের ধাপের নির্বাচনে কতজন স্বজন দলীয় নির্দেশ মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে বলছেন নেতারা।