সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কোনো চুক্তি হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা চুক্তি ও স্মারকের পার্থক্য বোঝে না। এমনকি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও চুক্তি ও সমঝোতার পার্থক্য বোঝেন না।
শুক্রবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর ড্রিম প্লাস রিসোর্টে রংপুর বিভাগীয় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে এখন তারেক ভুতে পেয়ে বসেছে। তাদের নেতারা সকাল বেলা উঠে দেখে পদ নাই, তারেক জিয়া তাদের পদ কেটে দিয়েছে। এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে, কখন পদ চলে যায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তার পদ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন। কয় দিন আগে দেখলাম ফখরুল সাহেব বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থ্যতার কথা বলে কাঁদলেন। বেগম খালেদা জিয়া তো বহুদিন থেকে অসুস্থ, এর আগে তাকে কাঁদতে দেখি নাই। এখন কেন তিনি কান্না শুরু করলেন? কারণ হচ্ছে পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে যে মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি।সেই শিরোনাম যেদিন এলো তার পরের দিন দেখি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অঝোরে কাঁদছেন এবং পত্রিকায় বলা হলো যে তিনি খালেদা জিয়ার জন্য কাঁদছেন। আসলে তিনি কী কারণে কাঁদছেন সেটিই বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের নেতাকর্মীদের আলস্য ধরেছে। পাশপাশি ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে কিছু সুবিধাভোগীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেখান থেকে দলকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের নতুন নেতা-কর্মীরা যাদের বয়স ৩০ সেও বিরোধী দল দেখে নাই। বিরোধী দলের কী যন্ত্রণা সে জানেনা, বোঝেও না। সে শুধু দলকে ক্ষমতায় দেখেছে। সেই জন্যে আজকে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যাদের মধ্যে আলস্য এসেছে সে আলস্য ঝেড়ে ফেলে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য শাহাজান খানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সুফা বেগম রুমি, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন আসনের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।