মাগুরায় ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার শিকার সেই শিশুটিকে আর বাঁচানো গেলো না। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় শিশুটি। তার মৃত্যুতে গোটা জাতি যেমন শোকাহত, তেমনি লজ্জিত।
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই করুণ মৃত্যুর সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গেই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখন সবার একটাই চাওয়া দায়ী জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তারা উভয়েই একই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা লিখেছেন, আমাদের বোন আর নেই। তার ধর্ষণের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্ষকদের শাস্তির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক।
বিচারহীনতা, বিচারে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দীর্ঘসূত্রতা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে যে ধ্বংসাবশেষ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, শিশুটির ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মাধ্যমে সেই বিচারব্যবস্থা আবার জেগে উঠুক। পুরো বাংলাদেশ বোনটির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।
গত পাঁচই মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ওই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলা দায়েরের পর শিশুটির বোনের স্বামী, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।