সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী গৃহকর্মী হুসনে আরা বুধবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। কিন্তু উড়োজাহাজ থেকে নামার পর তিনি নিজের পরিবার এবং বাসস্থানের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে দেশে ফেরা হুসনে আরার পাশে দাঁড়ায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং বেসরকারি সংস্থা ব্রাক।
বৃহম্পতিবার হুসনে আরার পরিবারের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জিয়াউল হক জানান, গত বছর ১৭ এপ্রিল সৌদি আরবে গৃহর্মী হিসেবে সৌদিআরব যান হুসনে আরা। সেখানে এক বছরের বেশি সময় কাজ করার পর বুধবার সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঢাকায় নামেন। এসময় তিনি বিমানবন্দরে এলোমেলো ঘোরাফেরা করছিলেন। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নারী সদস্যরা তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। তাকে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নিয়ে এসে তার কাছে তার পরিবারের ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না।
তিনি বলেন, মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকায় এসময় ব্রাকের মাইগ্রেশন প্রকল্পের সহযোগিতা নেয় এয়ারপোর্ট এপিবিএন। পাশাপাশি হুসনে আরার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাও করতে থাকে। পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টায় একসময় হুসনে আরার গ্রামের বাড়ির ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করা হয়। তার সাথে কথা বলে তার পরিবারের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সংবাদ দেয়া হয়। পরিবার থেকে জানানো হয় যে, হুসনে আরার দেশে ফেরার বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না। তার দেশে ফিরে আসার ব্যাপারেও তাদের কিছু জানানো হয় নাই।
জিয়াউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে হুসনে আরার মামা ঢাকায় আসেন। এবং তাকে বুঝে নেন।
হুসনে আরার মামা সৈয়দ মাহমুদ জানান, তার ভাগনি সুনামগঞ্জের বাসিন্দা এবং মো. জয়নালের স্ত্রী। গতবছর এপ্রিল মাসে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস তার সাথে পরিবারের যোগাযোগ ছিলো।