দীর্ঘ ছুটি শেষে আবারো স্বরূপে ফিরছে রাজধানী। তবে ঈদ শেষে প্রথম কর্মদিবসে রাস্তায় ছিলো না সেই চিরচেনা যানজট। ট্র্যাফিক পুলিশের ধারণা, আগামী সপ্তাহ থেকে চাপ বাড়বে। অফিসগুলোতেও শুরু হয়নি পূর্ণ ব্যস্ততা। ১০ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় খুললেও সেখানে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ।
রোববার কর্মব্যস্ত নগরীর প্রথম প্রহরেই নির্মল জীবন কাটিয়ে ব্যস্ততার নগরীতে শুরু হয়ে গেছে জীবন সংগ্রাম, কেউ পাড়াপাড়ি করে বাসের ওঠার চেষ্টায় আছেন আর অনেকেতো উঠে কোনোমতে ঝুলে আছেন।
শুরুর কর্ম দিবসে নগরীতে তেমন যানজট চোখে না পড়লেও অনেক রুটেই ছিলো ব্যস্ততা, আবার কিছু পরিবহনে স্বাচ্ছন্দ্যেই যাত্রা করেছে কর্মজীবী মানুষ। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, আগামী সপ্তাহ থেকে স্বরূপে ফিরবে রাজধানী।
দীর্ঘ ছুটি শেষে বেশিরভাগ মানুষই ফিরেছে নগরীতে, সকাল থেকে নগরের সব রাস্তাঘাটে তাদের কর্মচাঞ্চল্যতাও চোখে পড়ে। অফিসগুলোর লিফটেও দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন।
তবে ব্যস্ততা শুরু হয়নি অফিসের কর্মযজ্ঞে। সকালে ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলের দিলকুশার ব্যাংকগুলোতে দেখা যায়নি তেমন ভিড়। অনেকটা উৎসবের আমেজেই কাজ করে যাচ্ছেন কর্মীরা।
অন্যদিকে সচিবালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে কর্মদিবস শুরু করেছেন। অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও গল্প করছেন। ফলে সচিবালয়ে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল গত ৪ জুন। ৫ জুন থেকে শুরু হয় টানা ছুটি। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি কাটান সরকারি চাকরিজীবীরা।