অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আর জলোচ্ছ্বাসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতো বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতো বললেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন সেন্টমার্টিন অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কারণ, মোখার কেন্দ্রের প্রভাব ওই দ্বীপটির ওপরে পড়ছে।
এদিকে মোখার তাণ্ডবে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজারের মানুষের বসবাস করেন। মোখার কারণে এর মধ্যে আড়াই হাজার মানুষ টেকনাফে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে।
কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে সাত মিলিমিটার এবং সেন্টমার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ এসেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি ও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দুপুর ১টা থেকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে গাছপালা ও বেশকিছু ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খোরশেদ আলম বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে থেকে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে, সাথে বৃষ্টিও বেড়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।’
সেন্টমার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা এখনো সেখানেই রয়েছেন বলে জানান খোরশেদ আলম।
একাত্তর/এআর