অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বিধ্বস্ত হয়েছে হাজারো বাড়িঘর। তাই খাবারের চেয়ে সেন্ট মার্টিনবাসীর এখন বেশি দরকার গৃহনির্মাণ সামগ্রী।
যাদের ঘর ভেঙেছে তারা এখন বাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। জেলা প্রশাসন বলছে, তারা তালিকা করছেন; এরপর ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
টিন-বাঁশ দিয়ে তৈরি সেন্ট মার্টিনের মোটামুটি সব ঘর ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষ এখন নতুন করে ঘর তৈরি করতে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন।
বাঁশ-পলিথিনের মিশেলে তৈরি ছোট ঘরগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে। অনেক ঘর একেবারে মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। এর বাইরে যেসব ঘর টিন-কাঠ দিয়ে বানানো, সেসব ঘরের বেশিরভাগেরই টিনের চালা উড়ে গেছে। সীমানা প্রাচীরও ভেঙে গেছে।
দ্রুত ঘর মেরামত করতে না পারলে সামনের বর্ষায় কিভাবে টিকে থাকবেন তা নিয়ে সবার চোখে মুখেই দুশ্চিন্তার ছাপ। দ্বীপের জনপদ ঘুরলেই দেখা যায় মানুষের মনে দুশ্চিন্তার ছাপ।
স্থানীয়রা বলছেন, সবার ঘরে কম বেশি খাদ্য আছে। খাদ্যের চেয়ে এখন জরুরি ঘর সংস্কার করা। তাই ঘর নির্মাণের সামগ্রী তাদের বেশি প্রয়োজন।
তারা বলেন, আমাদের এখানে খাবার নয়, সবচেয়ে বেশি জরুরি বাঁশ, টিন, পলিথিন। মানে ঘরের জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন সেগুলো দরকার।
ঝড়ের পরদিন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং কোস্ট গার্ডের জোনাল প্রধানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আসেন সেন্ট মার্টিনে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সহযোগিতা করা হবে।
কক্সবাজার কোস্ট গার্ডের জোনাল কমান্ডার এবং পুলিশ সুপার জানান জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয়দের সাথে সমন্বয় করে তারা সার্বিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টার ঝড়ে লণ্ডভণ্ড প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন
ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, কোন আশ্বাস নয়, চান দ্রুত ত্রাণ সহায়তা। কারণ, খেয়ে পড়ে থাকতে পারলেও রাতে ঘুমানোর ছাদটুকু নেই তাদের মাথার উপর।