কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে, পশু মোটাতাজাকরণ করার কাজ। খামারিরা বলছেন, একেতো গো খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে গরু আসা নিয়েও শঙ্কিত তারা। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে, দিন-রাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করছেন খামারিরা। প্রতিটি খামারে রয়েছে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরনের কোরবানির পশু।
খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারের ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি ভুট্টার ভুষি ২৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে অন্যান্য খাবারের দামও।
তারা জানান, প্রতিটি গরু লালন-পালনে বাড়তি খরচ হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। যা বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশু বিক্রি বন্ধে, এরইমধ্যে হাটগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, গরুর হাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, বাজারে জাল টাকার যে একটা সমস্যা হয় তা যাতে না হয়- সে জন্য আমরা শক্ত নজরদারি করছি।
এদিকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে, খামারিদের হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, কৃত্তিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করা যাবে না। স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে- এছাড়া আরো নানান বিষয়ে আমরা খামারিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ‘হৃদরোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে দিতে পারে সরকার’
জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মেটানো যাবে বলে আশা করছেন খামারিরা।
একাত্তর/আরএ