চাঁদপুরে নিজ ঘর থেকে এক গৃহবধূসহ চার ও দুই বছরের দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলেছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামের রাঢ়ী বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫), সন্তান আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)।
গৃহবধূ সীমার পিতা হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, সামাজিকভাবে গত ছয় বছর আগে আরিফের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ দুবাই যান। গত এক মাস আগে বাড়িতে এসেছেন। মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে কিনা এমন কথা মেয়ে কখনও জানায়নি।
তবে এ বিষয়ে আরিফে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এদিকে এই ঘটনার পর পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সামনেই সীমা ও আরিফের স্বজনদের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। কিছুক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মরদেহগুলো ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছিল। গৃহবধূর স্বামী আরিফের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রী তাকে পরকীয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহ করতেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনার করা যাচ্ছে- পরকীয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।