কক্সবাজার থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। যারা কক্সবাজারে অবস্থান করা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সাথে সাক্ষাতে এসেছিলো। তবে কোনো জঙ্গিদের মদদদাতা নেতা কক্সবাজারে অবস্থান করছে, তার পরিচয় জানায়নি র্যাব।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন -মোহাম্মদ জাকারিয়া মণ্ডল, মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ ও মোহাম্মদ ওজায়ের। জাকারিয়া মণ্ডল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও নিয়ামত এবং উজায়ের চট্টগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
ঈদের ছুটির শেষে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে তিনজনই ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসে কক্সবাজার।
তারপর বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী থেকে তাদের আটক করে র্যাব। উদ্ধার করা হয় লিফলেট, পুস্তিকা, বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল ও মোবাইল।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, আটক তিনজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। যারা কক্সবাজারে থাকা নেতার সাথে পরামর্শের জন্য এসেছিল।
তিনি জানান, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এবং র্যাব-৭ এর যৌথভাবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত চৌফলদন্ডী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটক ব্যক্তিরা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ যোগদান করে।
তিনি বলেন, আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটি নাম পরিবর্তন করে আস শাহাদাহ নামে তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশের দেশে থাকা আমীর সালাহউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ রেখে শিক্ষার্থী ও কোমলমতিদের টার্গেট জঙ্গি সংগঠনটির।
আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠন কক্সবাজারকে নিরাপদ ঘাঁটি বানাচ্ছে কিনা বা কক্সবাজারে গুরুত্বপূর্ণ নেতা কে, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তবে তিনি জানিয়েছেন, আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে কথিত ইসলামী খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।