নোয়াখালীতে এক মাটি ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহটি খালে ফেলে দেওয়ার সময় দেখে ফেলেন স্থানীয়রা। এসময় তারা ধাওয়া দিয়ে দুই জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়া হয়। পরে হত্যার পর বিকেলেই বেগমগঞ্জ উপজেলার পালোয়ান পুলের কাছে একটি খালে মরদেহটি ফেলে দেওয়ার সময় দুই জন জনতার হাতে আটক হয়।
নিহতের নাম জাকির হোসেন (৩৯)। তিনি ওই এলাকার রফিক উল্যাহ মিস্ত্রির ছেলে।
আটকরা হলেন- অটোরিকশার চালক ও গাড়িতে বাবু (৩৬)।
স্থানীয়রা জানান, জাকির যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০২৩ সালের এক ডিসেম্বর র্যাবের অভিযান তিনি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পাঁচ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি তাবলিগে চলে যান। কয়েক মাস আগে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে এলাকায় আসেন। এরপর তিনি এলাকায় মাটির ব্যবসা শুরু করেন। কয়েকদিন আগ থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ তুমুল আকার ধারণ করে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাটি কাটার ভেকু মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার জেরে দুর্বৃত্তরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জাকিরকে প্রথমে তার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ ফেলে দেওয়ার সময় দুই জন আটক হন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। হত্যাকারীদের ধরতে খোঁজ চলছে।
তিনি আরও জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বেগমগঞ্জ মডেল থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।