শেরপুরের গারো পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ করেই দিনে ও রাতে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। আর এই আগুনে পুড়ে যাচ্ছে আশপাশের চারা গাছ, মরছে কীটপতঙ্গ। অভিযোগ, আগুন জ্বালানোর সেই জায়গা থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তজুড়ে গারো পাহাড়। আর এই পাহাড়ের ভেতর থেকে দিনে কিংবা রাতে এখন প্রায়ই ভেসে আসছে ধোঁয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত সড়কের দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়েই শাল-গজারীর বাগানের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আগুন লাগানোর মহোৎসব।
তাদের অভিযোগ, আগুনের এই লেলিহান শিখায় পুড়ছে বনের কীট-পতঙ্গ, গাছপালা, লতা-গুল্মসহ ছোট ছোট চারা গাছ। আর আগুন দিয়ে রাতের অন্ধকারে বনের মূল্যবান গাছ চুরি করছে একটি চক্র।
এতে চারাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকিতে পড়ছে, বলছেন তারা।
বনরক্ষীরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে বনের ঝরা শুকনো পাতায় প্রতিবছরই এমন আগুনের ঘটনা ঘটে। আর স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভাতে কাজ করছেন তারা।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিমের দাবি, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে প্রায়ই বনের নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও বন রক্ষায় সাধ্যমতো চেষ্টা করছে বন বিভাগ।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মী খুবই সীমিত। তারপরও এই বিশাল বন রক্ষায় আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা বন বিভাগসহ, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানাই, এই আগুন যারা দিচ্ছে- দ্রুত তাদের ধরে শাস্তি দেয়া হোক।
বন বিভাগের তথ্য মতে, শেরপুর জেলায় বনভূমি রয়েছে প্রায় ২০ হাজার একর।