ক্যান্সার চিকিৎসায় আর সকল কোষ ধ্বংস নয়, কেবল ক্ষতিকর কোষগুলি ধ্বংস করে পারমাণবিক চিকিৎসা ও থেরানস্টিক্স পদ্ধতি চালু হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এই চিকিৎসায় ক্যান্সার রোগীর দ্রুত সুস্থ হবার পাশাপাশি মৃত্যু ঝুঁকিও কমিয়েছে বলে একাত্তরকে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা: শুইচি শিরাতোরি।
অপরদিকে ক্যামোথেরাপিতে ক্যান্সার আক্রান্তের ভাল ও ক্ষতিগ্রস্ত সকল কোষই ধ্বংস হওয়ায় রোগী দ্রুত সময়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। বাড়ে মৃত্যু ঝুঁকিও। তাই দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের পারমাণবিক চিকিৎসা ও থেরানস্টিক্স পদ্ধতি চালুর পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।
দেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে প্রতি লাখে ১০৬ জন মানুষ ভুগছেন দীর্ঘস্থায়ী এই জটিল রোগে। এমনকি দেশের মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই এখন ঘাতকব্যাধী ক্যান্সারের কারণে।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার নির্মূলে ক্যামোথেরাপিকে পেছনে ফেলেছে নতুন চিকিৎসা। নিউক্লিয়ার ট্রিটমেন্ট ও থেরানস্টিক্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তাই এই চিকিৎসার সাথে দেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরিচয় করিয়ে দিতে থাইল্যান্ড থেকে এসেছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ শুইচি শিরাতোরি।
তিনি জানান, প্রচলিত ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত সার্জারি, বিকিরণ এবং কেমোথেরাপি জড়িত থাকে। যা রোগীর প্রায়শই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
অপরদিকে পারমাণবিক চিকিৎসায় থেরানস্টিক্স টার্গেটেড রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে। যা সুস্থ কোষগুলিকে অক্ষত রাখে।
ডা. শিরাতোরির দাবি, থেরানস্টিক্স পদ্ধতি ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায় গেম চেঞ্জার হয়ে উঠবে। তবে, এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু করতে গবেষণা, অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি তুলনামূলক ব্যয়বহুল হলেও বাংলাদেশে যেহেতু ক্যান্সার রোগীর হার উদ্বেগজনক তাই পারমাণবিক চিকিৎসা ও থেরানস্টিক্স পদ্ধতি চালু জরুরি বলেও মত দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।