শনিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিউপোল ও এর চারপাশের অঞ্চল থেকে তুমুল লড়াইয়ের খবর আসতে শুরু করেছে। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা শুক্রবার এক টুইট বার্তায় জানান, গত ১২ দিনে মারিউপোল শহরে রুশ সামরিক বাহিনীর বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত এক হাজার পাঁচশ ৮২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
দিমিত্র কুলেবা মারিউপোলের পরিস্থিতিকে "বিশ্বের নিকৃষ্টতম মানবিক বিপর্যয়" বলে বর্ণনা করেছেন।
নিরস্ত্র জনতার উপর হামলার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রেরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য পুতিন ও রুশ বাহিনীর নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন যে, ইউক্রেন এখন 'রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বন্ধের জন্য বিমানের প্রয়োজন রয়েছে।'
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলের একটি মসজিদে গোলাবর্ষণ করেছে। যেখানে ৮০ জনেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু আশ্রয় নিয়েছিলো। তবে ওই মসজিদ এলাকায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১২ মার্চ) জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে বেসামরিক এলাকাগুলোকে টার্গেট করার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে পুতিন প্রশাসন।
সবশেষ জানা গেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী যখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, একই সময়ে বড় ধরনের প্রতিরোধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন নগরীর সাধারণ বাসিন্দারা। কিয়েভ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই আছে রুশ সেনারা। শহরের চতুর্দিক থেকে তারা অগ্রসর হচ্ছে। এই অবস্থায় তুমুল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বেসামরিক যোদ্ধারা।
একাত্তর/আরবিএস