চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের রাজধানী লাসায় করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিরল বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে শত শত মানুষকে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে এ বিক্ষোভ শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই চীনের হান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অভিবাসী শ্রমিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনার নতুন ঢেউকে প্রতিরোধ করতে গত প্রায় তিন মাস ধরে লকডাউন চলছে লাসায়। এই সময়ে বেশ কয়েকজন তিব্বতি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় জড়ো হয়েছেন শত শত মানুষ। একদিক থেকে তাদের প্রতিরোধ করছেন কর্মকর্তারা। লাউডস্পিকারে সবাইকে শান্ত হয়ে ফিরে যেতে আহবান জানাচ্ছেন কেউ একজন।
আরেকটি ভিডিওতে মান্দারিন ভাষায় কেউ একজন বলছেন, 'তাদেরকে অনেকদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। এখানকার অনেক মানুষই স্রেফ কাজ করে টাকা উপার্জন করতে এখানে এসেছেন। চীনের মূল ভূখণ্ডে সেটি পেলে তারা তো এখানে আসতেন না'।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৮ সালের পর এটিই তিব্বতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। সেবার ১৯ জনের মৃত্যুর পর বিদেশিদের তিব্বতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়াকে তিব্বতের এক সূত্র জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ তুলে নেয়া না হলে 'আগুন লাগিয়ে দেয়ার' হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে এর মাধ্যমে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিমা বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটে আক্রমণের হুমকি রাশিয়ার
লাসার এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, সেখানে জীবনযাত্রার ব্যয় দিনদিন বেড়েই চলেছে। বাইরের যারা সেখানে থেকে কাজ করেন তাদেরকে নিজ শহরে ফিরে যেতেও দেয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, চীনের অন্যতম সুরক্ষিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত। সেখানে চীন সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলেও, সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং।