বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ এই গ্রিন অ্যানাকোন্ডা। মানুষের মাথার সমান, যার মাথা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ব্রাজিলের আমাজনে খোঁজ মিলেছিলো দানবাকৃতির এই সাপ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডিজনি সিরিজের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে বড় সাপটির খোঁজ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল। কিন্তু হঠাৎ জানা গেল, সেই সাপটিই আর বেঁচে নেই।
এখন প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কীভাবে মারা গেল সাপটি। গবেষকদের ধারণা, অ্যানাকোন্ডাটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যা স্থানীয় শিকারিদের কাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে আমাজনের বনিতো গ্রামের ফরমোসো নদীতে ২৪ মার্চ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অ্যানাকোন্ডাটিকে পাওয়া গেছে। গাড়ির টায়ারের মতো মোটা ছিল সাপটি। ২৬ ফুট লম্বা ও ৪৪০ পাউন্ড ওজনের অ্যানাকোন্ডাটির মাথা ছিলো পুরোপুরি মানুষের মাথার সমান।
যদিও ডাচ বিজ্ঞানী প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক জানিয়েছেন, সাপের মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে চলছে তদন্ত। নিজের ইনস্টাতে সাপের মৃত্যুর কথা নিজেই জানান প্রফেসর ফ্রিক ভঙ্ক।
তিনি লিখেছেন, অন্তত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানাচ্ছি বিশালাকৃতির গ্রিন অ্যানাকোন্ডা, যেটির সঙ্গে আমি সাঁতার কেটেছিলাম, এ সপ্তাহের শেষ দিকে নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে। এ ধরনের সাপ খুব বেশি না থাকায় তার মৃত্যু জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম অনুসারে, গ্রিন অ্যানাকোন্ডা হলো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সাপ। এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে ভারী সাপের ওজন ২২৭ কেজি বা ৫০০ পাউন্ড। যা লম্বায় ছিল ৮ দশমিক ৪৩ মিটার এবং ১ দশমিক ১১ মিটার বা ৩ দশমিক ৬ ফুট প্রশস্ত।
এছাড়া প্রাণী গবেষকরা জানান, নতুন আবিষ্কৃত নর্দার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা প্রজাতি প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর আগে সাউদার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তারা জিনগতভাবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ আলাদা। ফেব্রুয়ারি মাসেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, হুমকির মুখে গ্রিন অ্যানাকোন্ডা সাপ। তাদের সেই আশঙ্কা সত্যিই প্রমাণিত হয়েছে। মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে সাপটির।