গাজার যুদ্ধ অনন্তকাল চলতে পারে না, এমন মন্তব্য করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এমনকি ন্যায়বিচার চিরদিনের জন্য অনুপস্থিত থাকতে পারে না। বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চায়না-আরব স্টেটস কোঅপারেশন ফোরাম-সিএএসসিএফ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জিনপিং বলেন, দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের পথেই সবাইকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। অশান্ত বিশ্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সম্প্রীতিতে বসবাসের উপায়, ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তার ভিত্তি। সিএএসসিএফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাহরাইন, মিসর, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, অনির্দিষ্টকাল ধরে যুদ্ধ চলতে পারে না। ন্যায়বিচার স্থায়ীভাবে অনুপস্থিত থাকতে পারে না এবং সংকটের ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে’ দৃঢ় সমর্থন দেয়া উচিত। টালমাটাল বিশ্বে মিলেমিশে বসবাসের উপায় হল পারস্পরিক সম্মান। আর ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায়বিচার হলো স্থায়ী নিরাপত্তার ভিত্তি।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ‘অত্যন্ত গুরুতর’ পরিস্থিতির ব্যাপারে ‘গভীর বেদনা’ অনুভব করছেন বলে জানিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং গাজার মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় পৌঁছেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর এ যুদ্ধের বিস্তৃতি প্রভাব প্রতিহত করার সঙ্গে আরো বড় ধরনের মানবিক সংকট ঠেকাতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন গাজা যুদ্ধ বন্ধ করা। আর কোনো নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরতে দেয়া দেয়া যায় না।
চীন বরাবরই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলে আসছে। পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে চীন, যা আরব দেশগুলোর অবস্থানের সঙ্গে মেলে। মানবিক সহায়তার জন্য আরও ৫০ কোটি ইউয়ান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।