মার্কিন নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটের (ন্যাটো) বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তাহলে এর অর্থ হবে, ন্যাটো সামরিক জোট রাশিয়ার সঙ্গে “যুদ্ধে লিপ্ত” হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, এর ফলে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে। এর অর্থ হবে যে, ন্যাটো জোট অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যদি সত্যিই এমনটা ঘটে তাহলে এই সংঘাতের কথা মাথায় রেখে আমরা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবো।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন পুতিন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ওয়াশিংটনের বৈঠকেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়া হতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভকে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালাতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, কিন্তু তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ন্যাটো জোট।
তবে ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানিয়েছিলো, যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে এবং কিয়েভকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত করার অনুমতি দিয়েছে। এর আওতায় ইউক্রেন তার নিজের বলে দাবি করা ভূখণ্ড ক্রিমিয়া থেকে জাপোরোজিয়া, খেরসন, দোনেস্ক এবং লুহানস্ক পর্যন্ত হামলা চালাতে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
প্রতিক্রিয়ায় মস্কো বলেছিলো, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের পাঠানো অস্ত্র দিয়ে যদি রাশিয়ায় হামলা হয়, তাহলে রাশিয়া বিষয়টিকে প্রত্যক্ষ হামলা হিসেবে বিবেচনা করবে এবং যে দেশের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হবে সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে।