যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বিধ্বংসী এমকে-৮৪ বোমার চালান ইসরাইলে পৌঁছেছে। জো বাইডেন প্রশাসন এ চালান আটকে দিলেও ট্রাম্প আসার পরই এটি ছাড়পত্র পেয়ে যায়।
যুদ্ধবিরতির মধ্যে এতো বড় অস্ত্রের চালান ইসরাইলকে দেয়ায় উদ্বিগ্ন ফিলিস্তিনিরা। এদিকে, হামাসের জন্য নরকের দরজা খুলে দেয়ার হুমকি দিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে এই বোমার চালান পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এসব বোমা ব্যবহারে বেসামরিক জনগণের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে- এই আশঙ্কায় ইসরাইলকে বোমা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।
এমকে-৮৪ নামের এই ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমাটি পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে পারে। এই বোমার বিস্ফোরণ ব্যাপক এলাকা জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম।
তবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পরই বাইডেনের স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। ট্রাম্প জানান, ইসরাইল অর্থ দেয়ার পরও অনেক জিনিস বাইডেন দেয়নি। সেগুলো এখন পাঠানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই বোমা পাঠানো হলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বোমার এই চালান এমন সময় ইসরাইলের হাতে এসেছে, যখন গাজায় হওয়া যুদ্ধবিরতি নাজুক অবস্থায় আছে। এই বিরতি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা জানিয়েছে গাজাবাসী।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমা দিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হামলায় নারী, শিশুরা এমনকি বৃদ্ধরাও প্রাণ হারাচ্ছেন। তারপরও ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের শত্রু। জাতিসংঘে আমাদের পক্ষের যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো দেয় দেশটি। ওদের মাথা ব্যথা শুধু ইসরাইলকে নিয়ে। ইসরাইল যেন যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি অংশ।
এদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরকের দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, আমরা হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও গাজায় তাদের শাসন শেষ করে দেব। আমাদের সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনব এবং এটা নিশ্চিত করব যে গাজা যেন কখনই ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ইসরাইল সফরে রয়েছেন মার্কো রুবিও। ইসরাইলপন্থী হিসেবে পরিচিত রুবিও সংবাদ সম্মেলনে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দেন।