ঈদুল ফিতর কবে পালিত হবে, এমন প্রশ্ন এখন মুসলিম বিশ্বের সবার মুখে মুখে। এই আবহে সবার আগে সেটি ঘোষণা করলো প্রাচ্যের দেশ অস্ট্রেলিয়া। রোজার তারিখও দেশটি সবার আগে ঘোষণা করেছিলো।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে উদযাপিত হয় মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ভৌগোলিক কারণে চাঁদ দেখার সময়ের তারতম্যের কারণে একাধিক দিনে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে।
শনিবার খালিজ টাইমস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল জানিয়েছে সোমবার দেশটি ঈদ উদযাপিত হবে। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সম্ভাব্যতা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কাউন্সিল জানায়, শনিবার রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে শাওয়াল মাসের চাঁদের জন্ম হবে। কিন্তু দেখা যাবে রোববার। ফলে রমজান মাস হবে ৩০ দিনের অর্থাৎ ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। আর সোমবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।
এদিকে, ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটিতে কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর ফলে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ৩০টি রোজা পূর্ণ করবেন।
দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হিজরি ১৪৪৬ সনের শাওয়াল মাসের ১ তারিখ পড়বে ৩১ মার্চ। শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আকাশে শনিবার ঈদের চাঁদ দেখা যায়নি। এতে এ বছর ৩০ রোজা পালন করবে মালয়েশিয়া। সে হিসেবে ঈদ হবে সোমবার।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র ব্রুনাইও ঈদুল ফিতরের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
সাধারণত প্রতিবছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের পরদিন বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সৌদি আরবে এবার রোজা ৩০টি পূরণ হলেও বাংলাদেশে ২৯টি রোজা হতে পারে। তবে ঈদুল ফিতরের সিদ্ধান্ত নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। রোববার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে ঈদের তারিখ।