কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খান। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
মূলত শাহবাজের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর তা গ্রহণ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, গত সোমবার আদিয়ালা জেলে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব পৌঁছে দেন।
ইমরান খান সে সময় কোন ধরনের দেরি না করে আলোচনার অনুমতি দেন বলে বিশ্বস্ত বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে। তবে ইমরান খান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আলোচনাটি গোপনীয়ভাবে ও গণমাধ্যমের উপস্থিতি বা নজরের বাইরে হওয়া উচিত, যাতে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়।
ইমরানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই বলছে- এবার আলোচনা হবে বেশ কৌশলী ও নিরবভাবে। দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, পিটিআই এখন সরকারকে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এগোনোর জন্য অনুরোধ জানাবে। তাদের অভিমত, অতীতে আলোচনার প্রয়াস গণমাধ্যমে অতিরিক্ত প্রচারের কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যারিস্টার গওহর জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ইমরান খানের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তার ভাষায়, আমাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা আমি বলে দিতে পারি না।
এর আগে সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পিটিআইকে জাতীয় সংলাপে যোগ দেওয়ার আহবান জানান। ব্যারিস্টার গওহর সেই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও পিটিআই স্পষ্ট করে জানায়, ইমরান খানের সম্মতি ছাড়া কোনও অগ্রগতি সম্ভব নয়।
আর ইমরান খান চান আলোচনায় সেনাবাহিনীর পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকুক। একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রয়োজনে তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি সঙ্গেও বৈঠকে বসতে রাজি। এই আলোচনার উদ্যোগ এমন এক সময় এসেছে, যখন ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পর পাকিস্তানে রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক উঠেছে।