মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে স্বর্ণ ও দামি অ্যামবার পাথরের খনিসমৃদ্ধ একটি এলাকার দখল নিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও তাদের মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ছয় দিনের হামলার পর গত বৃহস্পতিবার তানাই শহরের ওই এলাকা দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
এক বিবৃতিতে কেআইএ এ কথা জানিয়েছে। কেআইএ কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) সামরিক শাখা। খবর ইরাবতী’র।
কেআইএ ও তাদের মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ১১ মে নামবিয়ু গ্রামে জান্তার নামবিয়ু সেনাচৌকিতে হামলা চালায়। সেখানে সেনাবাহিনীর ২৯৭ ও ২৬০তম পদাতিক ব্যাটালিয়নের ৭০ জনের মতো সেনা ছিলেন।
কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাউ বু বৃহস্পতিবার ওই সেনাচৌকি দখলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ মার্চ বড় ধরনের হামলা শুরুর পর তানাই শহরে এ নিয়ে চতুর্থ সেনাচৌকি দখলে নিয়েছে কেআইএ ও এর মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
কর্নেল নাউ বলেন, স্বর্ণ ও অ্যামবার খনিসমৃদ্ধ এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নামবিয়ু সেনাচৌকিটি ব্যবহার করা হতো। তবে এখনও ওই এলাকায় জান্তার আরও চারটি সেনাচৌকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৭ মার্চ কেআইএ এবং এর মিত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কাচিন রাজ্যের পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এবং রাখাইন রাজ্যভিত্তিক জাতিগত আরাকান আর্মি (এএ) সমন্বিতভাবে সুমপ্রাবুম ও তানাই শহরে আক্রমণ শুরু করে। একই সঙ্গে তারা ভামোর সঙ্গে রাজ্যের রাজধানী মিতকিনাকে সংযোগকারী সড়কেও হামলা চালায়।
সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালে কেআইএ থেকে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তানাই শহরের হুকাওং উপত্যকায় নামবিয়ু সেনাচৌকিটি স্থাপন করে। শুধু অবস্থানগত কারণেই নয়, প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে স্বর্ণ ও অ্যামবার খনির জন্যও এলাকাটির কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।
আঞ্চলিক আভিযানিক কমান্ড-২ এবং অন্যান্য ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের কারণে জান্তা বাহিনীর কাছে কাচিন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় তানাই শহরের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।