ট্রেনে ঈদযাত্রার সপ্তম দিনে কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে চড়ে ঘরে ফিরছেন অনেকেই।
গত তিন এপ্রিল থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু পর গেলো কয়েকদিনে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখা যায়নি। গার্মেন্টস ছুটির পর মঙ্গলবার থেকে পাল্টাতে থাকে চিত্র। আর এতেই ফিরেছে ট্রেনে ঈদযাত্রার আগের বছরগুলোর সেই চিরচেনা রূপ।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের ছাদে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। বগির ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গা থাকলেও, ছাদে উঠে যাচ্ছেন স্ট্যান্ডিং টিকেটের এসব যাত্রী।
টিকেট ছাড়া কেউ ভেতরে না ঢুকতে পারলেও, ছাদ থেকে যাত্রী নামানোর কোন চেষ্টা নেই রেল পুলিশের।
এদিকে, সকাল থেকেই কমলার তিনটি ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব ট্রেনই স্টেশন থেকে সময় মেনেই ছেড়েছে। কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ছেড়েছে এক ঘণ্টা পরে।
আর মহানগর প্রভাতী ও রংপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়েছে পৌনে এক ঘণ্টা দেরিতে।
এবার ট্রেনে শুরু থেকেই ভোগান্তি ছাড়া ঘরে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা। আগে ঈদযাত্রা নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও, তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে বলেও জানান তারা।
এদিকে ট্রেনে নাশকতার শঙ্কা না থাকলেও, যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
গত তিন এপ্রিল শুরু হয় ট্রেনে ঈদযাত্রা। শুরুর প্রথম তিনদিন যাত্রীচাপ ছিলো একেবারেই কম। শনিবার থেকে কিছুটা বাড়তে থাকে।
এবার লম্বা ছুটি থাকায় ভাগে ভাগে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তাই ঈদযাত্রায় কমলাপুর স্টেশনের চিরচেনা সেই রূপ দেখা গত ছয়দিনে দেখা যায়নি।
এদিকে টিকেট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না কেউ। আর যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে তিন স্তরে টিকেট চেক করা হচ্ছে। ঈদযাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীদের টিকেট চেক করে ভেতরের যেতে দেয়া হচ্ছে। টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছেন না।
স্টেশনে ঢুকে প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে আবারো দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরে যেতে পারছে যাত্রীরা।
এবার ঈদে যাত্রী চাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।