সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের (১৩ থেকে ২০ গ্রেড) নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ১৩তম থেকে ২০তম এই আটটি গ্রেডের কর্মচারীরা আগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির হিসেবে পরিচিত। সরকারি চাকরিতে এ দুই শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ -এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পদ আছে ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে (১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডের) সরকারি অনুমোদিত পদ আছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৯টি। যা মোট সরকারি কর্মচারীর ৭১ শতাংশ।
গত ৫ বছরে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ১৭৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
বিসিএসে নারীরা পেছাচ্ছে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্মসচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন। সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৬৫৮ জন।
এছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত হয়েছেন। একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।