এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবারও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন, কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারবো।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না। কেবিনেটে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৬ জুলাই স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১৩ জুলাই সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, তিন দফা দাবি নিয়ে আলোচনা ‘সন্তোষজনক’ ও ‘খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে।
পরে ওই দিন দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়বাদুল কাদের বলেন, প্রত্যয় পেনশন স্কিমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালে অন্তর্ভুক্ত করার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা ভুল।
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে এক জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।