স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত এবং হাতেনাতে আটকের পরও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
চোরাচালানে জড়িত এক কর্মকর্তাকে বিভাগীয় শাস্তি দেয়া হবে, এমন মুচলেকা দেয়ার পরও সেই কর্মকর্তার কোন ধরনের শাস্তি হয়নি।
আর এসব কারণে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান বেড়ে গেছে বলে মনে করছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তারা মনে করেন, উপযুক্ত শাস্তি হলেই কমতে পারে স্বর্ণ চোরাচালান।
গেলো বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সৌদি এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোনা চোরাচালানের ঘটনায় সোনার বারসহ আটক হন সিভিল এভিয়েশনের সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমন মুচলেকা দিয়ে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে ছাড়িয়ে নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেই জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে।
স্বর্ণসহ হাতে নাতে গ্রেফতারের পরও কিভাবে কোন শাস্তি ছাড়াই জহিরুল কর্মস্থলে ফিরে এলেন এমন প্রশ্নের জবাবে, এই প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়েই দ্রুত তিনি বেরিয়ে যান।
শাহজালাল বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শুরুজ্জামান গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি সাড়ে তিন কেজি স্বর্ণসহ ধরা পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন স্বর্ণগুলো তিনি বিমানবন্দরে কুড়িয়ে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: টিসিবি ট্রাকের সামনে থেকে খালি হাতে ফেরা মানুষই বেশি
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে যাত্রী ছাড়াও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, কর্মচারী,পরিছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরাও জড়িত আছে।
পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা স্বর্ণ বের করে আনার কাজ করে। কারণ তাদের বিমানবন্দরের গেট ব্যবহারের পাশ আছে।
স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িতদের কোন শাস্তি না হবার কারণেই এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যদিও প্রতিমন্ত্রীর দাবি, অভিযুক্তরা নিয়ম মাফিক শাস্তি পাচ্ছে।
একাত্তর/এসজে