প্রায় ১০ বছর পর বৃহস্পতিবার বিতর্কিত মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রায় হতে যাচ্ছে।
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যুর ভুয়া তালিকা প্রচারের অভিযোগে ২০১৩ সালে এই মামলা দায়ের করা হয়। অধিকারের তালিকায় থাকা অস্তিত্ববিহীন নিহতদের এলাকা ও মাদ্রাসা থেকেও সাক্ষীরা এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতে মিথ্যাচারের প্রমাণ মিলেছে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
২০১৩ সালের ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ঐ ঘটনায় হাজার হাজার নেতাকর্মী মারা গেছে বলে দাবি করে হেফাজতে ইসলাম কিন্তু দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য-প্রমাণ তারা দিতে পারেনি তারা।
একই বছরের ১০ জুন মানবাধিকার সংগঠন অধিকার দাবি করে ঐ ঘটনায় ৬১ জন মারা গেছে। এই তালিকা মিথ্যা উল্লেখ করে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। পরে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
একই বছরের ১০ জুলাই তালিকাটি চেয়ে অধিকারকে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় অধিকার। পরে ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। পরদিন সংগঠনটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটারে পাওয়া যায় ৬১ জনের নামের তালিকা।
এ নিয়ে তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারী শুরু হয় বিচার কাজ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায় বিচার কাজ। পরে ২০১৭ থেকে শুরু হয় শুনানী।
২২ সাক্ষীর সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে মামলাটি প্রমাণের ব্যাপারে আশাবাদী রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূইয়ার দাবি রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে পারেনি, তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।