রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আগামী রোববার (২২ জুন) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শুক্রবার (২০ জুন) দলীয় সাধারণ সভায় এনসিপির খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন শেষে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে প্রায় সব শর্তই পূরণ করেছে এনসিপি। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গোছানোর কাজও শেষ পর্যায়ে। বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের আবেদনের পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আশা দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, অভ্যুত্থানকে কার্যকর রূপ দিতেই এনসিপির আত্মপ্রকাশ। দীর্ঘ সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দল রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কারের বিরুদ্ধে যখন অবস্থান নেয়, তখন এনসিপি গুণগত পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। এনসিপির একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খসড়া গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সংগঠন উপহার যেন দিতে পারা যায় সেটা নিশ্চিত করেছি। অনেক রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গাফিলতির পরিচয় দিয়ে থাকে। সেই জায়গায় এনসিপি এমন একটি গঠনতন্ত্র প্রস্তাব করেছে যা দেশের রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে আদর্শ হয়ে থাকবে।
এদিকে এনসিপির নারী সদস্যদের কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরামি, মিথ্যাচার এবং অপমান করা হচ্ছে উল্লেখ করে এসমস্ত মিথ্যাচার এবং নোংরামির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দলের নারী সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেসব মিডিয়া দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করবে দলটি।
এদিন দলীয় সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্রের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
খসড়া গঠনতন্ত্রমতে পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। তবে এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারবেন।
দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী দায়িত্বে থাকবে পলিটিক্যাল কাউন্সিল। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে ১৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের সদস্য হবেন। এছাড়া তাদের আরও দুই জন মনোনিত সদস্য থাকবে। আর বাকি ১১ জনকে নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিতদের মধ্যে অন্তত ৩ জন নারী সদস্য থাকবেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে ৩ বছর। মেয়াদের সবশেষে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী কাউন্সিল আয়োজন করার কথা রয়েছে খসড়া গঠনতন্ত্রে।