শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বুলডোজার কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। আগুন দেয়া হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। ভেঙে ফেলা হয়েছে ভবন।
ভোলার সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এছাড়া খুলনায় শেখ হাসিনার চাচা শেখ আবু নাসের ও বরিশালে আমীর হোসেন আমুর বাড়িতে ভাঙচুর করে বাস ভবনের একাংশ গুড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
একাত্তরের সংবাদদাতা, প্রতিনিধি ও প্রতিবেদকদের পাওয়া তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনার শেরেবাংলা রোডে শেখ হাসিনার চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়ি এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও জনতা শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে প্রথমে অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বাড়িটি।
বরিশালে রাত দুইটায় আমীর হোসেন আমুর বাড়িতে ভাঙচুর করে বাসভবনের একাংশ গুড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধরা। এসময় একই ক্যাম্পাসের অপসোনিন ফার্মার স্বত্বাধিকারী সবুর খানের বাড়িতে ভাঙচুর করেন তারা। কালিবাড়ী সড়কে অবস্থিত সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাড়িতেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলায় বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
পিরোজপুরেও বিক্ষোভ হয়। রাত ১২টায় পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার ভাই পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের বাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন দেয় তারা। পরে একটি ফিলিং স্টেশনেও ভাঙচুর করা হয়।
সিলেটে জেলা পরিষদে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙেছে ছাত্র-জনতা।
রাজশাহী ভেঙে ফেলা হয়েছে অন্তত চারটি আবাসিক হলের নামফলক। নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলকে বিজয় ২৪, শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলকে নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী হল, নির্মাণাধীন এএইচএম কামারুজ্জামান হলকে শহীদ আলী রায়হান হল এবং শেখ হাসিনা হলকে ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল নাম দেয়া হয় ৷ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম ভেঙে রিয়া গোপ মডেল স্কুল নাম দেন তারা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সিটি কর্পোরেশনের বুলডোজার নিয়ে এসে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ম্যুরালটি। কারমাইকেল কলেজে থাকা ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া পটুয়াখালীতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে।