নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ আগস্ট বিএনপি নেতা তোতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার পর রাজ্জাক চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়। এরপর সে গোপনে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকতেন।
রোববার বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক বাসিন্দা রাজ্জাকের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা তাকে ভাটারা থানা এলাকার অ্যাপার্টমেন্টের একটি কক্ষ থেকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, বিএনপি নেতা তোতা হত্যা মামলার আসামি রাজ্জাককে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দীপ থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ও নির্দেশদাতা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কথোপকথনের এমন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
নিহত বিএনপি নেতার স্বজন ও এলাকাবাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে একাধিক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।