গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় আট জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অনেকে।
গোবিন্দগঞ্জ
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় রোড ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে ট্রাক চাপায় আনোয়ার হোসেন ও শারমিন খাতুন নামে এক দম্পতি নিহত হন। তারা মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলেন।
তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি উপজেলার কাটবির গ্রামে। তারা দুিই জন পেশায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
ঘটনার পর ফাঁসিতলা থেকে চাঁপড়ীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশের অপরিকল্পিত রাবারের ওই রোড ডিভাইডার তুলে নেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা ঘণ্টা ব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিভাইডার অপসারণ করার আশ্বাস দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাইবান্ধা
এদিকে পরদিন শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হন দুই জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রইচ উদ্দিন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় গাড়ির চেইন মাস্টার ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ
একইদিন বিকেল তিনটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগদা কলোনি এলাকায় ট্রাক চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন শিশু। এ ঘটনায় শিশুর বাবা-মাসহ অন্তত চার জন আহত হন। হতাহতদের বাড়ি পাশ্ববর্তী জেলা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। নিহত ও আহতদের দ্রুত বগুড়ায় নেয়ায় তাদের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় এ পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন মারা গেছে। প্রতিটি ঘটনায় গাড়ি আটকসহ মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পলশাবাড়ী
এদিকে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারের পশ্চিমে দোকানঘর নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হন। ঢাকাগামী রিতু পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হন। আহত হন আরও দুই জন।
তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের খামার নড়াইল গ্রামের নছির উদ্দীনের ছেলে অটো চালক গনি মিয়া (৪০), সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে লিয়াকত(১৮) ও ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইবনুল (১৮)।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয়রা বাসটি আটক করে আমাদের হেফাজতে দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।