বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা তুলে নেয়া হলেও বাংলাদেশে এই টিকার ব্যাপক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কোনো তথ্য মেলেনি বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিকল্প হিসেবে প্রয়োজনে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের কথা জানান তিনি।
লন্ডন সফরে থাকা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব উদ্যোগে ভ্যাকসিন তৈরিতে যুক্তরাজ্যের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
নানা রকম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বব্যাপী বন্ধ ঘোষণা হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা। ফলে বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ যারা এই টিকা গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, সারা বিশ্বে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার নানারকম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের দেশে ব্যাপক আকারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তবে আমরা শুধু অক্সফোর্ডের টিকার ওপর নির্ভরশীল নই। আমাদের কাছে বিকল্প হিসেবে ফাইজার রয়েছে।
তিনি জানান, সহজলভ্য ও কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ সুবিধার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বেছে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে, দেশে এখন আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা নেই, আছে ফাইজার।
তিনি আরও জানান, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শোনার পর ডিজি হেলথকে বলেছি। আমাদের একটা বিকল্প পথ তো বের করতে হবে। ভ্যাকসিন প্ল্যান কালকেই বানাতে পারবো না।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ওভারসিস ডক্টরস ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালুর পাশাপাশি ব্রিটেনে প্রশিক্ষিত নার্স প্রেরণ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে যুক্তরাজ্যের সাথে কাজ করার ওপরেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।