২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় দুই হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। একই সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে পৌঁছেছে কমপক্ষে এক লাখ ৮৬ হাজার মানুষ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
ইউএনএইচসিআর নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু সাগরে নয়, স্থলেও অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সাধারণত আফ্রিকার দেশগুলো থেকে স্থলপথে যাত্রার পর অভিবাসীরা তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ান উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে সাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। এই রুট ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাগর পারাপারে যারা মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে তাদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ইউরোপে সমুদ্রপথে মোট প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইতালি, গ্রীস, স্পেন, সাইপ্রাস এবং মাল্টায় এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে তিউনিসিয়ায় আনুমানিক ৩১ হাজার এবং লিবিয়ায় ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বা আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন মেনিকদিওয়েলা।