পূর্ব আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিতে এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সের ১৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের দেহে ভাইরাসটির ‘নতুন রূপ’ শনাক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুরুন্ডিতে গেলো মাসে এমপক্সের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু হয়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পলিকার্প এনদাইকেজা বলেন, ইতোমধ্যে ১৭১টি পজিটিভ কেস নিশ্চিত করা হয়েছে, যার ১৩৭টি এখনও সক্রিয়।
জুলাইয়ের শেষের দিকে বুরুন্ডিতে এমপক্সের তিনটি কেস শনাক্ত করা হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৮ আগস্ট ১৫৩টি নিশ্চিত কেস নিশ্চিত করেছে।
একজন কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, শনাক্ত হওয়া কেসগুলো প্রতিবেশী গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে (ডিআরসি) ছড়িয়ে পড়া ‘নতুন রূপ’ বলে মনে হচ্ছে। যদিও এমপক্স কয়েক দশক ধরে পরিচিত, তবে সাম্প্রতিক ঢেউ নতুন ও আরও মারাত্মক সংক্রমণযোগ্য স্ট্রেন ক্লেড-১বি নামে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লেড-১বি প্রায় ৩.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটায়। এতে শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবের জন্য আন্তর্জাতিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে।
প্রাথমিক অবস্থায় আফ্রিকার কিছু দেশে এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও বিশ্বব্যাপী তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ায় শনাক্ত হয়েছে অতি সংক্রামক এ রোগ। এমন পরিস্থিতিতে এমপক্সকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশ, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, পাকিস্তানসহ আফ্রিকার দেশগুলো এ ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।
১৯৭০ সালে আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোতে মানবদেহে প্রথম এমপক্সের সংক্রমণ হয়েছিল।