অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ। শনিবার (৩ মে) দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বামপন্থি এই নেতা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনী ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলো বিশ্ব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঘাটতি ভোটে প্রভাব ফেলেছে। সেই আবহে আলবানিজের সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছিল।
শুল্কযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া প্র কোনও পক্ষ না নিলেও আলবানিজের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ছিলো। অনেকের মতে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধে লেবার পার্টির সরকারের নীতির দিকেই ঝুঁকল অস্ট্রেলিয়া!
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ৬৩ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এতে লেবার পার্টি ৮৫টি আসন, এলএনপি জোট ৪১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি আসন পেয়েছেন।
অর্থনৈতিক নানা সংকট আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোর বিরোধিতা করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন অ্যান্থনি।
নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রক্ষণশীল প্রার্থী পিটার ডাটনকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিরোধী নেতা ডাটন পরাজয় মেনে নিয়ে আলবানিজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পরাজয় স্বীকার করে ডাটন বলেছেন, ভোটে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। এই হারের দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি।
পরিবর্তন, না পুরোনোতেই আস্থা- অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছিল। প্রচারের সময় উভয় দলই জোর দিয়েছিল সে দেশের জীবনযাপনের খরচ সংক্রান্ত সঙ্কটের উপর।
তবে বিরোধীরা সরকারের একাধিক নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির জন্য আলবানিসের সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ডাটনেরা।
তাদের দাবি, মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ব্যর্থ আলবানিজ সরকার। পাল্টা আক্রমণে ডাটনের পারমাণবিক প্রস্তাবকে নিশানা করে লেবার পার্টি। অভিযোগ, ডাটনের দল বিভাজনমূলক রাজনীতির পালে হাওয়া দিচ্ছে।