বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনে এক টাকা ২৫ পয়সা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৬ টাকা দাম কমানো হয়েছে। পুনর্নির্ধারিত এ দাম রোববার থেকে কার্যকর হবে।
শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিলো। তারই ধারাবাহিকতার তেলের নতুন এই দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে এক টাকা ২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং কেরোসিন ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১২৭ টাকা থেকে ছয় টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লাভ-লোকসান নির্ভর করে মূলত ডিজেলের ওপর। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।