সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
 

গত দেড় দশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কতটা হয়েছে?

আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম

উন্নয়ন একটি বহুমাত্রিক বিষয় ও চলমান প্রক্রিয়া। দেশ-কাল ভেদে অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে সাথে এই মাত্রারও পরিবর্তন হয়। যেমন, ১৯৩০ এর দশকে ব্রিটেনে উন্নয়ন দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিলো দারিদ্র্য দূর করা। ১৯৬০ এর দশকে জন এফ কেনেডি দারিদ্র্য দূরীকরণেরর মাধ্যমে তার কল্পিত মহান সমাজ (Great Society) গঠনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু এখন সেখানে উন্নয়ন অর্থ পরিবর্তিত হয়েছে, শুধু দারিদ্র্য বিমোচনে সীমাবদ্ধ নেই। ১৯৭৩ সালে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যাকনামারা দারিদ্র্য দূরীকরণকেই বিশ্বব্যাংকের সব থেকে  বড় দায়িত্ব মনে করেন।

জাতিসংঘের এমডিজি এবং এসডিজি’র প্রথম লক্ষ্যই হলো দারিদ্র্য বিমোচন। এই প্রেক্ষিতে ১৯৭০ এবং ১৯৮০ দশকের চরম দারিদ্র্র্যপীড়িত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ-কবলিত বাংলাদেশ আজ দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বের কাছে রোল মডেল। ২০০৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দারিদ্র্য ও অতি দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪১.৫১ ও ২৫.১ ভাগ থেকে হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে ১৮.৭ এবং ৫.৬ হয়েছে।

অর্থাৎ উচ্চ দারিদ্র্য রেখা বিবেচনায় দারিদ্র্য অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং নিম্ন দারিদ্র্য রেখার প্রেক্ষিতে অতি দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে এক-পঞ্চমাংশ হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়মিতভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ধারাবাহিক উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে ২০০৪-০৫ সালের মাত্র ৫৫৫ ডলারের মাথাপিছু জিডিপি ২০২৩ সালে ২৭৯৩ ডলারে উপনীত হয়েছে।

২০০৮ সালে বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৬০ তম এবং ২০২৩ সালে ৩৫ তম। অতি সম্প্রতি লন্ডন-ভিত্তিক গবেষণা গ্রুপ সিইবিআরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩৮ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ ও পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, তৈরি পোশাক ও প্রবাস আয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও সপ্তম।

এসব সাফল্যের পেছনে রয়েছে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ, জনগণের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা, শ্রমবাজারে নারীর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ ও ক্রম বিকশিত ব্যক্তিখাতের ভূমিকা। বিশ্বব্যাংকের দেশ বিভাজনের বিচারে নিম্ন-আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ এবং জাতিসংঘের হিসাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-গত দেড় দশকের এক বিশাল সাফল্য।

অর্থশাস্ত্রের জনক অ্যাডাম স্মিথ এর মতে কোন দেশের সম্পদ শুধু সেই দেশের কোষাগারে কী পরিমাণ সোনা-রুপা আছে তা দিয়ে পরিমাপ না করে বরং মানুষ কত ভালোভাবে অন্ন, বাসস্থান ও বস্ত্রের সংস্থান করতে পারে  তার ভিত্তিকে পরিমাপ করা উচিত।

বিবিএসের খানাভিত্তিক আয়ব্যয় সমীক্ষা অনুযায়ী প্রধান খাদ্য উপাদানগুলোর মাথাপিছু দৈনিক ভোগের পরিমাণ ২০০৫ সালের ৯৪৮ গ্রাম ২০২২ সালে ১১৩০ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে সবজি, মাছ, মাংস ও দুধ-ডিমের ভোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে গড় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কালেও। বাংলাদেশের মঙ্গাপীড়িত এলাকায়ও এখন আর না খেয়ে থাকা মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আগের খড়ের ঘরের জায়গায় টিনের এবং টিনের ঘরবাড়ির জায়গায় ইট-পাথরের ঘরবাড়ি জায়গা দখল করে নিয়েছে। ২০১০ সালের তুলনায় ২০২২ ইট-সিমেন্টের পাকা দেয়াল এবং ছাঁদ-ঢালাই সম্বলিত ঘরবাড়ির সংখ্যা শতকরা হিসাবে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রায় সাড়ে আট লক্ষ পরিবারকে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ মালিকানায় বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে-যা নজিরবিহীন।

ঈদে, পুজো এবং পহেলা বৈশাখের পরিধেয় বস্ত্রের বাজার প্রত্যক্ষ করলে বোঝা যায় আগের তুলনায় এদেশের মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের গুণগত এবং পরিমাণগত ধনাত্মক পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান যে আগের তুলনায় বেড়েছে তাতে  সন্দেহ থাকা অনুচিত।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা মাথাপিছু আয় বাড়লে সব সময় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়েনা। ফলে আয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিতে গঠিত মানব উন্নয়ন সূচক তুলনামূলকভাবে একটি উন্নততর উন্নয়ন-মানদণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলে এই সুচকেও বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং নিম্ন মানব উন্নয়ন থেকে মধ্যম মানব উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে উত্তরণ ঘটেছে।

২০১০ এর সূচক স্কোর ০.৫৫, ২০২২ সালে ০.৬৬ এ উন্নীত হয়েছে। স্বাক্ষরতার হার  ২০০৬ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে দ্বিগুণ বেড়েছে।  একই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ৪ গুণ হ্রাস পেয়েছে। আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখে বেড়েছে স্কুল, কলেজ, সাধারণ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও। রেজিস্ট্রিকৃত সকল প্রাইমারি স্কুল এবং বিরাট সংখ্যক প্রাইভেট কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষার পরিমাণগত দিকের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনের পর এখন গুণগত দিকে নজর দেয়া আরম্ভ হয়েছে।

শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল। এখন দরকার ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ পরিত্যাগ করে শিক্ষকদের মাইন্ডসেট এর পরিবর্তন ও অধিক দায়িত্বশীল আচরণ করা।

একই সময়কালে স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা, বিশেষায়িত হাসপাতালের সংখ্যা, সরকারি ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের সংখ্যা, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সংখ্যা দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমিত পরিসরে হলেও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ইমারজেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্য সেবায় এক যুগান্তকারী সংযোজন। ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সরকারি জনবলের যথাযথ দায়িত্বপালনের ওপর নির্ভর করছে স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক মান।

রুশ বিপ্লবের নায়ক লেনিন সমগ্র রাশিয়ার বিদ্যুতায়নকে বহুল-কাঙ্ক্ষিত সাম্যবাদের সাথে তুলনা করেছেন। অর্থনৈতিক অগ্রগতি তথা প্রাত্যহিক জীবনযাপনে বিদ্যুতের প্রয়োজন কতটা তা বিদ্যুৎ না থাকলে বোঝা যায়। একটা সময় ছিলো যখন এদেশে দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকতো না। গুরুত্বপূর্ণ পলিটিক্যাল লিডারকে বলতে শোনা গেছে বাসাবাড়ি এবং শিপিংমলে একসাথে বিদ্যুৎ দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না।

জনকষ্ট লাঘবের জন্যে এক এগারোর সরকার কানাডা থেকে ভাসমান বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার প্যান্ট নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেও সফলতা দেখাতে পারেনি। এদেশে ২০০৬ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এরকম সুবিধাভোগীর হার ২৮ ভাগ থেকে প্রায় ১০০ ভাগে উন্নীত হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়ে ১১৫ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুবিধাভোগীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে সুবিধার পরিমাণও। ২০০৬ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সামাজিক সুরক্ষা সেবার আওতাভুক্ত মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়কালে খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমের উপকারভোগী শতকরা ১০০ ভাগ বেড়েছে। বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীর এবং  বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতার উপকার ভোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ ও ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী বেড়েছে ৩০ গুণ। তবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে সংখ্যায় কম হলেও অযোগ্য ব্যক্তিরাও সুবিধা পায়, আবার যোগ্যরাও বাদ পড়ে। এমনকি মারা যাওয়ার পরও দীর্ঘসময় বয়স্ক ভাতা অন্য কেউ উত্তোলন করে। এই বিষয়গুলোতে আরও নজর দেয়া জরুরি।

যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে এই সময়কালে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে। জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়ক; গ্রামীণ সড়ক বহুগুণ বেড়েছে। মোট রেলপথ বেড়েছে দেড় গুণ, বেড়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত রেলের সংখ্যাও। সর্বোপরি নিজস্ব অর্থায়নে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্বমানের বিস্ময়কর পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক মূর্ত প্রতীক। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এই সেতুর প্রভাবে আঞ্চলিক দারিদ্র্য কমবে ১ শতাংশ আর জাতীয়ভাবে দারিদ্র্য কমবে ০.৮ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক গৌরবের অধ্যায়- যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।  ঢাকার মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জীবনে কতটা স্বস্তি এনে দিয়েছে তা ভুক্তভোগীর চেয়ে ভালো আর কেউ জানেনা।

খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি, মুদ্রা-পাচার, আয়-বৈষম্য, অপ্রতুল কর রাজস্বের মতো চিরাচরিত চ্যালেঞ্জগুলোকে ছাপিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন মূল্যস্ফীতি। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোতেও মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। অতি সম্প্রতি কানাডায় মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন, স্থির এমনকি মধ্যম আয়ের মানুষের একটা অংশের বর্ধিত বাড়ি ভাড়া সংকুলান করতে না পেরে সারা দেশের বিভিন্ন পার্কে তাঁবু টাঙ্গিয়ে ঘুমানোর দৃশ্যও খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষকে চাল, তেল, মসুর ডাল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সুলভমূল্যে সরবরাহ করছে। এই সুবিধার আওতা আরও বৃদ্ধি করা দরকার। তবে এদেশে বরাবরই বৈশ্বিক কারণে যখন দাম বাড়ে তখন যে হারে বাড়ানো যৌক্তিক তার তুলনায় অনেক বেশি হারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে মূল্য-সন্ত্রাস তৈরি করে ব্যবসায়ীরা। আবার যখন বিশ্ববাজারে দাম কমে তখন আর  দাম তেমন কমাতে চায় না। বাজার মনিটরিং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দেখে অসহায় মনে হয়।

বাজার কারসাজির সাথে জড়িত দৃশ্যমান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না। বাজার তদারকির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা খুচরা বিক্রেতাদের উপর জোর-জুলুম করে যারা আসলে বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়। দাম-নিয়ন্ত্রণে এদের কিছুই করার নেই। বরং খুচরা বিক্রেতারা যাদের কাছে কেনে তাদের ওখানে অভিযান চালানো দরকার- যেটি প্রায়শই হয় না।

পাশের দেশগুলোর মধ্যে ভারত এই সংকটকালেও মূল্যস্ফীতি অনেক দেশের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের অনেক দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দুষ্প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিদেশ সফর করেন। তাঁরা কি ভারতে যেয়ে সেদেশের মডেল দেখে এসে দেশে কাজে লাগাতে পারেন না? নাকি বিদেশ সফরগুলো কেবলই প্রমোদভ্রমণ এবং আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়?  অন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে ঋণখেলাপি, মুদ্রা-পাচার, দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলোতে দৃশ্যমান ব্যবস্থাগ্রহণ যত দেরি হবে, আমাদের ঈপ্সিত অর্জন ততই বিলম্বিত হবে।

লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এআরএস
বাংলাদেশের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, মানুষের অধিকার, দেশের অবকাঠামো আবার ফিরে পেল তার রূপ, সর্বত্র উন্নয়নের কাজ শুরু হল।
তোমরাই বাংলাদেশ! দাঁড়িয়ে অভিবাদন কিংবা টুপি খোলা অভিবাদন নয়, ছাদ খোলা অভিবাদনের ধারণাও বাংলার মেয়েরাই হাজির করলো! খেলা মুক্তিযুদ্ধ নয়, তুলনীয়ও নয়। তবু বাংলাদেশের মতো দেশে মেয়েদের...
২০০৪ সালের কোনো এক রৌদ্রদগ্ধ দুপুরের কথা মনে পড়ে। সম্ভবত সে বছরই আমার প্রিয় ব্যান্ড রেনেসাঁর নতুন একটি অ্যালবাম রিলিজ হলো একুশ শতকে রেনেসাঁ শিরোনামে। তখনও আমাদের ক্যাসেটে গান শোনার দিনগুলো শেষ...
আমাদের প্রজন্মের যাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল তাদের জন্য ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় ছিল একটি মহান বিজয়। যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে এতো তাড়াতাড়ি...
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ।
ইরানের শহীদ রাজাই বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৮০০ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
আন্তঃধর্ম সংলাপ বিষয়ক বিভাগের (ডিকাস্টেরি) কার্ডিনাল প্রিফেক্ট জর্জ জ্যাকব কুভাকাড রোমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত