বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করলেন সাকিব আল হাসান। সবধরণের ক্রিকেটেই বোলিং করতে আর বাধা থাকছে না তার। দু’দুবার ফেইল করার পর তৃতীয়বার এসে ইংল্যান্ডে এই পরীক্ষা উতরেছেন টাইগার তারকা। আবার অলরাউন্ডার হিসেবে সব জায়গায় খেলার সুযোগ মিলছে সাকিবের। যদি আবারো বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা দেখা দেয়, এক বছরের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন তিনি।
গোটা বাংলাদেশ পুড়ছে হামজা জ্বরে। তারকা ফুটবলারের সঙ্গে তুলনাও উঠে আসছে বাংলার নবাব সাকিব আল হাসানের। হামজা বড় না সাকিব বড়? এমন বিতর্ক উসকে যারা ফায়দা তুলে নিতে চেয়েছেন। হামজা সেখানেই দিয়েছেন ফুলস্টপ। বলেছেন সাকিব মেগাস্টার।
চৌধুরী সাহেবের এমন মন্তব্যে সমালোচনার বরফ গলেছে। একই সঙ্গে সাকিব ভক্তদের জন্য মন ভালো করার মতো খবর। বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করেছেন সাকিব আল হাসান। ফলে সবধরণের ক্রিকেটেই বোলিং করতে আর বাধা থাকছে না তার।
লম্বা ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা কাটছে একেবারেই যাচ্ছে তাই। জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েও পারেননি। নানা জটিলতার সঙ্গে যুক্ত হয় অবৈধ বোলিং অ্যাকশন। যে ২২ গজে খেলে সাকিব হয়েছেন সুপারস্টার। সেই ২২ গজে খেলতেই নিষেধাজ্ঞা। এমন বাধায় চুপসে যাবেন টাইগার তারকা তা কী করে হয়!
গেলো বছরের মাঝামাঝি সারের হয়ে খেলতে বোলিংয়ে ত্রুটি ধরা পড়ে সাকিবের। বোলিং অ্যাকশন ঠিক করতে পরীক্ষা দেন বার্মিংহ্যাম এবং চেন্নাইয়ে। কিন্তু দুই জায়গায়ই হন ব্যর্থ। এতে নেমে আসে নিষেধাজ্ঞা। কাটা পড়েন বিশ্বের বহু আসরে। এমনকি জাতীয় দলেও কেবল ব্যাটার হিসেবে জায়গা মেলেনি সাকিবের। এমন অবস্থায় ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে সারের কোচ গ্যারেথ ব্যাটির সঙ্গে কাজ করেন সাকিব।
দীর্ঘসময় অ্যাকশন নিয়ে কাজ করার সুফল পেয়েছেন টাইগার তারকা। ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে মুক্তি পান অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে। তবে অ্যাকশনে বৈধতা পেলেও কবে নাগাদ তিনি দেশের ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা কাটছে না।