প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কের প্রসিদ্ধ টাইমস স্কয়ারে শতকন্ঠে গান গেয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হলো। বাংলা ১৪৩০ সালের পহেলা বৈশাখ, বিশ্ব মানবতার মঙ্গল কামনা করে, অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাও। অসংখ্য প্রবাসী বাঙালির অংশগ্রহণে আলোকিত হয়ে ওঠে বর্ষবরণের এই উৎসব। আয়োজনে ছিলো এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড।
নিউইয়র্কের ব্যস্তজীবনও বাধা হতে পারেনি। বাধা হতে পারেনি দূরত্ব। তাই, শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। এই প্রথম টাইমস স্কয়ারে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে উচ্ছ্বাসটাও ছিল অনেক বেশি।
শিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপষের নেতৃত্বে দীর্ঘ পাঁচ মাসের পরিশ্রমের ফসল এই আয়োজন। তাই জমকালো ম্যানহাটনের আলো বাতাসও যেনো হেসে উঠলো, গানের তালে তালে।
এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের এই আয়োজনজুড়ে ছিলো আবহমান বাংলা সংস্কৃতির ছোঁয়া। আর উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কীর্তিমান কয়েকজন। অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজনের সফল। তাই উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, এ বছর পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন ব্যাহত করতে আদালতে মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিলো। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্ট এই আয়োজন স্থগিত করার মামলা খারিজ করে দেন।
আয়োজনের আহ্বায়ক ছিলেন নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান বলেন, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে এখানে শত শত প্রবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আবার তা প্রমাণিত হয়েছে।
আয়োজনের শেষ পর্যায়ে ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবতা পাবে, এমনটাই ছিলো শোভাযাত্রা মূল বাণী। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
তিনি বলেন, টাইম স্কয়ারের শতকণ্ঠে বর্ষবরণ আয়োজনটি অনবদ্য। প্রবাসে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রবাসীদের বিপুল অংশগ্রহণ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমার চাওয়া প্রতিবছর এভাবেই বৈশাখ উদ্যাপিত হোক নিউইয়র্কসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
এদিকে রমনার বটমূলের আদলে ১৫ এপ্রিল, শনিবার জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায়, অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখ বরণের বাকি আয়োজন। দিনব্যাপী সঙ্গীতায়োজন ছাড়াও থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা ও ঈদ বাজার। উদ্বোধন করবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস।
একাত্তর/এআর