যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইরাক গেল কয়েক বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেকটা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শুরু করেছে বিনিয়োগ। বড় অবকাঠামো থেকে শুরু করে আবসন প্রকল্প নির্মাণের জন্য দেশটিতে তৈরি হয়েছে বিশাল শ্রম বাজার।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা থাকলেও ওয়ার্ক ভিসা বন্ধ থাকায়, সেই শ্রমবাজারটি দখল করে নিচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপাল। তবে উদ্যোগ নিলে এখনও সময় আছে।
এখন ইরাক এক বদলে যাওয়া দেশ। যুদ্ধ পরবর্তী ইরাককে নতুন করে সাজাতে সব চেষ্টাই করছে দেশটির বর্তমান সরকার। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় অবকাঠামো।
রাজধানী বাগদাদের বিভিন্ন জায়গায় চলমান আবাসন প্রকল্পের কাজ। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সারি সারি আকাশচুম্বী ভবন। দীঘদিন ধরে চলছে এই নির্মাণযজ্ঞ।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের শ্রমে ঘামে তৈরি হচ্ছে এই ইমারতগুলো। যারা এই নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত তার পারিশ্রমিক ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা নিয়েও সন্তুষ্ট।
শুধু নির্মাণ কাজেই নয় চাকরির সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সবথেকে বেশি চাহিদা হোটেল আর রেস্টুরেন্টগুলোতে। দিন দিন বাড়ছে যার সংখ্যা। বিভিন্ন দেশের নামি-দামি খাবারের হোটেল রয়েছে এই শহরে।
তার পরেই সব থেকে বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজের সুযোগ পাচ্ছে শপিং মলগুলোতে। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী ভাল পারিশ্রমিকে কাজ করছেন বাংলাদেশিরা।
স্বাধীন পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ। আর স্বল্প পুঁজিতে হোটেল কিংবা দোকান দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন বাকিদের জন্য।
সেই আয়ে ভালভাবেই খেয়ে পড়ে ইরাক থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন তারা। বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা থাকা স্বত্তেও গেল কয়েকবছর ধরে ইরাক সরকার বন্ধ রেখেছে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া।
প্রবাসীদের চাওয়া পুনারায় চালু করা হোক কাজের ভিসা। ইরাকের চিকিৎসা সেবাতেও কর্মরত আছেন প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশিরা। সেই গল্প থাকছে আগামী পর্বে।