কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় মিরপুর, মোহাম্মাদপুর, মহাখালী, উত্তরা ও বাড্ডায় সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। এসব হামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এসব কার্যালয়ের সবগুলো গাড়ি। সিসি ক্যামেরার ছবিতে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী যুবকরা পেট্রোল দিয়ে গাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়। সব মিলে উত্তর সিটির ক্ষয়ক্ষতির অঙ্কটা অন্তত ২০০ কোটি টাকা। গাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়ায় রোজ ৪০০ টন বর্জ্য অপসারণের সক্ষমতা হারিয়েছে ডিএনসিসি।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বরে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের গাড়িগুলোতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। নিরাপদ দূরত্ব থেকে এই ছবি ধারণ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
সেসময় সেখানে উপস্থিত এক গাড়ি চালক জানান, লাঠিসোটা নিয়ে বেশ কিছু দুর্বৃত্ত সেদিন প্রতিটি গাড়িতে আগুন দেয়। পুড়ে যায় ২৯টি গাড়ি। ভাংচুর করা হয় আরও ১৭টি। তাদের বাধা দিলে পিটিয়ে আহত করা হয় বেশ কজন গাড়ি চালককে। হামলাকারীরা ছিলো বিভিন্ন বয়সী যুবক।
কেবল মিরপুরই নয়। মোহাম্মাদপুর, মহাখালী, উত্তরা, বাড্ডাসহ উত্তর সিটির প্রায় প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসে একই দিন প্রায় একই সময়ে হামলা চলে। এসব ঘটনাতেও দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সী যুবকদের।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, এসব এলাকার প্রতিটি সড়কবাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। গাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়ায় প্রতিদিন অন্তত ৪০০ টন বর্জ্য অপসারণের সক্ষমতা হারিয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আর ক্ষয়ক্ষতির অঙ্কটা ২০০ কোটিরও বেশি।
হামলা চালানো হয় মোহাম্মাদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারেও। একদল দুর্বৃত্ত গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুরের পর ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বেছে বেছে সিসি ক্যামেরাগুলোও ভেঙে দেয় তারা।