বরিশাল থেকে ঢাকার ভাড়া পাঁচশ’, আবার লঞ্চ থেকে নেমে সদরঘাট থেকে লোকাল বাসে সাভার কিংবা গাজীপুর যেতেও গুনতে হচ্ছে সমপরিমাণ অর্থ। একইরকম বেশি ভাড়া দিয়ে রাজধানীতে নিজের গন্তব্যে পৌঁছেছেন যাত্রীরা, কোনো কোনো বাসে ভাড়া রাখা হয়েছে চার থেকে পাঁচগুণ পর্যন্ত। ঈদযাত্রার ফিরতি পথে এমন ভোগান্তির শিকার হয়ে নৌপথে ফিরেছেন কর্মজীবীরা। যাত্রীদের দাবি সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি পরিবহন শ্রমিকদের নৈরাজ্য।
প্রিয়জনের সাথে স্বস্তির ঈদ উদযাপন করে নৌপথের দীর্ঘযাত্রা শেষে ঢাকায় যখন নোঙর করে দক্ষিণবঙ্গের লঞ্চ তখন থেকেই শুরু ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক রিকশা চালকের সাথে যাত্রীর বিতণ্ডা হচ্ছে ভাড়া নিয়ে। সাধারণ সময়ে যখন সদরঘাট থেকে গুলিস্তানের ভাড়া দিতে হয় পঞ্চাশ টাকা, এখন সেখানেই ২০০ টাকা দাবি করে বসেছেন এই চালক।
এদিন প্রায় একইরকম বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ ছিলো অন্য যাত্রীদের। লোকাল বাসে চল্লিশ টাকার মিরপুরের ভাড়া রাখা হচ্ছে একশ’ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি সংকট সাভার-গাজীপুরের যাত্রীদের।
বাস-রিকশার ভাড়ায় যখন এমন নৈরাজ্য পরিস্থিতি তখন উপায় না পেয়ে অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হতে দেখা যায়। তাদের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এ ধরনের বাড়তি ভাড়া নেয়া হলে প্রশাসন কার্যত কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না।
অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, সকল পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না।
ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ছাত্র সহযোগীরা অবশ্য যাত্রীদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, তারা অভিযোগ পেলেই পুলিশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
ফিরতি পথের যাত্রায় এমন ভোগান্তির মধ্যেই শনিবার ঢাকায় ফিরেছেন কর্মজীবীরা। তাদের দাবি, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাদের এমন ভোগান্তিতে পড়াটা ব্যবস্থাপনার চরম দুর্বলতারই চেহারা।