সেকশন

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
 

এক গ্রামে ৬০০ মৌচাক, স্কুল বন্ধের উপক্রম

আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার নদীবিচ্ছিন্ন নারায়ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ছয় শতাধিক মৌচাকের মৌমাছির উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের চৌদ্দঘড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চারদিকের কার্নিশ, জানালার সানশেড, বারান্দাসহ ভবনের চারপাশের গাছের ডালে ডালে ঝুলছে অসংখ্য মৌমাছির চাক। বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন অংশে বসেছে ছোটবড় ৬০টি মৌচাক। 

বিদ্যালয়ের সামনে ছোট-বড় কয়েকটি শিমুল, কাঁঠাল, আম ও নারিকেল গাছেও বসেছে শতাধিক মৌচাক। এসব গাছের কোনটা রয়েছে ভবন ঘেঁষে। মৌচাকের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। পথচারীরাও মৌমাছির ভয়ে বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলাচল করছেন না। 

স্থানীয় এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন মৌমাছি কোন কোন মানুষকে তাড়া করে এবং হুল ফোটায়। এই কারণে সবাই আতংকে থাকেন। শুধু বিদ্যালয়ে নয়, চৌদ্দঘড়ি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও বসেছে একাধিক চাক। সব মিলিয়ে প্রায় ছয় শতাধিক মৌচাক বসেছে ওই গ্রামে।

image


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চরাঞ্চলে এই সময় ব্যাপক সরিষার চাষ হয়। এই সরিষার মধু সংগ্রহ করতেই প্রতিবছর নভেম্বর মাসে এখানে মৌমাছির আগমন ঘটে। আশেপাশে বন-জঙ্গল না থাকায় এই বিদ্যালয় এবং পাশের গাছগাছালিতে মৌচাক দেয় তারা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৌচাকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। 

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, অসংখ্য মৌমাছি সবসময় ওড়াউড়ি করে। এসব মৌমাছি অনেকসময় হুল ফুটিয়ে দেয়। এতে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করেছে। 

স্কুলটির পিয়ন সোহেল রানা জানান, প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে স্কুলের ক্লাসরুম খুলে দিয়ে অফিসের জানালা-দরজা বন্ধ করে ভিতরে থাকেন তিনি। স্কুলের বারান্দা এবং অফিসের সাথেও মৌমাছির চাক দিয়েছে। মাঝে মধ্যে ধোঁয়া দিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টু চন্দ্র সেন জানান, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মৌমাছির উপদ্রব সহ্য করতে হয়। এবার মৌচাকের সংখ্যা অনেক বেশী। শুধু বিদ্যালয় ভবন এবং আশপাশের গাছ মিলে তিন থেকে সাড়ে তিনশ' মৌচাক বসেছে।

আরও পড়ুন: পাহাড়ে ঘুমন্ত ম্রো’দের ঘরে আগুন, অভিযোগ রাবার মালিকের দিকে

ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, এবার সরিষার চাষ বেশী হওয়ায় মৌমাছির চাকের সংখ্যাও বেড়েছে। শুধু স্কুলেই নয় আশেপাশের অনেক বাড়িতেও মৌমাছির চাক দিয়েছে। এমনকি তার বাড়িতেও ছয়টি চাক দিয়েছে। এসব চাক থেকে স্থানীয়রা মধু সংগ্রহ করলেও ক্ষতির পরিমাণটাই বেশী। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, সরিষার চাষ বেড়ে যাওয়ায় মৌমাছি আসছে। অনেকেই মধু সংগ্রহ করতে কৃত্রিম মৌচাক বসিয়েছেন। অনেক স্থানে মৌমাছি নিরাপদ স্থান ভেবে চাক বসাচ্ছে। সরিষার আবাদ ভালো হওয়ায় চাকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে স্থানীয়রা তা বিক্রি করেন, যা জেলার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।     

                          

একাত্তর/এসজে
কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রতিবাদের মুখে সীমান্ত থেকে সিসি ক্যামেরা সরানোর আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে কুড়িগ্রামের পথঘাট ও প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। শীতের তীব্রতা ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে...
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে দলীয় পদ বা নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়াসহ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ ৯টি সুপারিশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব চেয়েছে...
জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্ত নাম 'এনসিপি' নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি (বিসিপি)।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন। 
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে মূল নজর থাকবে দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে সেই বিষয়টি। 
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত