পটুয়াখালী থেকে যাত্রীবাহী বাসে ঢাকা যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয় সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে। এর ৩৪ ঘণ্টা পর তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ডিবির হেড কোয়াটারে আছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বার্তায় ডিবি জানায়, এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানানো হবে।
ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবার সূত্র জানায়, তিনি ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে পটুয়াখালী লেবুখালী স্ট্যান্ড থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ভোরে বাস পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ইকরিয়া এলাকায় পৌঁছলে একজন যাত্রী নামার কথা বললে বাস থামানো হয়। এ সময় ১৪/১৫ সশস্ত্র ব্যক্তি বাসে উঠে চালক ও অন্য যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে বাস থেকে ইউপি চেয়ারম্যানকে নামিয়ে মাইক্রোবাসযোগে নিয়ে যায়। সকালে তার স্ত্রী ফোন দিলে জানানো হয়, চেয়ারম্যানকে অপহরণ করা হয়েছে। এ সময় অপহরণকারীরা স্ত্রীর কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন তাৎক্ষণিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পাঠানো হয়। পরে মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হলে স্ত্রী ফারহানা কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করেন।
এদিকে খবরটি পটুয়াখালী পৌঁছলে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন মহলে অবহিত করেন ও সহযোগিতা চান।
পরে ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ইকরিয়া নামক স্থানের একটি তালাবদ্ধ ঘরের বাথরুমে আটকানো অবস্থায় আহত সেলিমকে উদ্ধার করে।
চেয়ারম্যানের ছোট ভাই কাজী সাহিন ও পার্শ্ববর্তী লাউকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস বাচ্চু জানান, মুক্তিপণ দাবি করে তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে। সেলিম চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমরা এখন ডিবি হেড কোয়াটারে আছি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সন্ধ্যা ছয়টায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিং করবে ডিবি পুলিশ।