দক্ষিণ মিশরের প্রাচীন শহর অ্যাবিডোসে ফারাও রাজা দ্বিতীয় রামেসিসের মন্দিরে টলেমাইক যুগের অন্তত দুই হাজার ভেড়ার মাথার মমি এবং একটি প্রাচীন স্থাপনার সন্ধান পাওয়া গেছে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ এসব মমি আবিষ্কার করেছেন।
মিসরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার মন্দির থেকে ভেড়ার মাথার সঙ্গে মমি করা কুকুর, বন্য ছাগল, গরু, হরিণ ও বেজির মাথাও উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো নৈবদ্য (দেবতার প্রতি যে সামগ্রী নিবেদন করা হয়) হিসেবে মন্দিরে দান করা হয়েছিল। খবর সিএনএন'র।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ আবিষ্কার টলেমাইক যুগের পরবর্তী দুই হাজার বছরের বেশি সময় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করবে।
উল্লেখ্য, খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ সালে রোমানদের বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত ৩০০ বছর টলেমাইক যুগ বিদ্যমান ছিল।
প্রাণীর এসব মমি ছাড়াও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা চার হাজার বছরের পুরোনো পাঁচ মিটার পুরু দেয়ালসহ একটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন। সেখানে প্রাচীন মূর্তি, বৃক্ষ, চামড়ার পোশাক ও জুতাও পাওয়া গেছে।
মিসরের সোহাগ গর্ভারনোরেটের অধীনে অ্যাবিডোস শহরটি অবস্থিত। রাজধানী কায়রো থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৩৫ কিলোমিটার। শহরটিতে প্রাচীন মিসরীয় রাজপরিবারের সমাধি রয়েছে এবং ওসিরিস দেবীর ভক্তরা সেখানে যেত।
মার্কিন দলের প্রধান সামেহ ইস্কান্দার জানান, দ্বিতীয় রামেসিসের জন্য এসব উৎসর্গ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘটে অচল জার্মানি
সাত দশকেরও বেশি সময় রাজত্ব ছিল দ্বিতীয় রামসিসের। তার সময়কাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০৪-১২৩৭ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় রামেসিস 'মহান রামসিস' হিসেবেও পরিচিত। তিনি মিশরের উনবিংশতম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও রাজা ছিলেন। তাকে মিশরীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মহান, সবচেয়ে উদযাপিত ও সবচেয়ে শক্তিশালী ফারাও হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার রাজত্বকালের প্রথমার্ধে তিনি নগর, মন্দির এবং সৌধ নির্মাণে মনযোগী ছিলেন।
একাত্তর/আরবিএস